স্বাধীন খবর
দেশ ও মানুষের কথা বলে !

calender

স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও জীববৈচিত্র মারাত্মক হুমকির মুখে




স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও জীববৈচিত্র মারাত্মক হুমকির মুখে

মানিকগঞ্জ সংবাদদাতাঃ মানিকগঞ্জ জেলা শহরসহ জেলার সাতটি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের ছোট ছোট মুদি দোকানগুলোতে দিন দিন বেড়েই চলেছে পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম উপাদান নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার। কোনভাবেই এর লাগাম টানা যাচ্ছে না। পলিথিন ব্যবহার ও উৎপাদন এবং পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও অপচনশীল উপাদান পলিথিন ব্যবহারের কারণে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পতিত হচ্ছে। প্রশাসনের সামনেই দেদারছে চলছে পলিথিনের বিক্রি। মানিকগঞ্জের বিভিন্ন শপিংমলে,  কাঁচা বাজার, গোস্তের দোকান,  মাছের দোকানে পণ্য সামগ্রী ক্রয় করলে দেয়া হচ্ছে বলে পলিথি। যার ফলে মাটি হারাচ্ছে তার উর্বরতা ও বন্ধ হচ্ছে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা দূষিত হচ্ছে বিশুদ্ধ বায়ু প্রবাহ এবং সেইসাথে ছড়াচ্ছে বিভিন্ন ক্ষতিকারক রোগজীবাণু। স্বল্প পুঁজিতে বেশি মুনাফা লাভের আশায় কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী জড়িয়ে পড়েছে পলিথিন বাণিজ্যে। পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮২ সালের দিকে প্রথম পলিথিন ব্যবহার শুরু হয় বহনযোগ্য ও স্বল্প মূল্যের কারণে এদেশে ব্যাপক আকারে পলিথিন ব্যবহার দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। 
কিন্তু ক্রমান্বয়ে পলিথিনের ব্যাপক চাহিদা ও ব্যবহারের পর যেখানে সেখানে ফেলে দেয়ার কারণে পরিবেশের ওপর মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনছে এই বিষাক্ত পলিথিন।  বিশেষ করে কৃষি জমি খাল -বিল পুকুর, জলাশয়ে ফেলে রাখা পলিথিন জমা হবার কারণে ওইসব স্থানে জলের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধার সৃষ্টি হয়। যার কারণে মশা মাছির প্রজনন বৃদ্ধিসহ পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সৃষ্টি করে। যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর ২০০২ সালে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন আমদানি ও বাজারজাত করা ক্রয়-বিক্রয় প্রদর্শন বিতরণ মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে।  কিন্তু হঠাৎ করে জেলায় এক যুগ পরে অতিমাত্রায় পলিথিনের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। টেপড়া এলাকার ফল বিক্রেতা মামুন মিয়া জানান, ১ কেজি পলিথিন এর দাম ১৪০ টাকা তাতে কমপক্ষে ২৫০ টি ব্যাগ থাকে। অথচ নেটের ব্যাগের দাম এর দ্বিগুণ। এখন আমরা কোনটি ব্যবহার করবো। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডাঃ পৃথ্বীশ কুমার দত্ত বলেন, পলিথিন মানবদেহের জন্য একটি ক্ষতিকারক উপাদান। শত বছরেও অপচনশীল। আমাদের নদী-নালা, পুকুর, ড্রেনের স্বাভাবিক পানি প্রবাহের গতিরোধ করে। মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করেছি এবং শতাধিক কেজির মতো পলিথিন জব্দ ও বিপুল পরিমাণ অর্থ জরিমানা করেছি। তাছাড়া আমরা অবৈধ পলিথিন   কারখানার ও মজুদদারদের অনুসন্ধাধান শুরু করেছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।




স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও জীববৈচিত্র মারাত্মক হুমকির মুখে স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও জীববৈচিত্র মারাত্মক হুমকির মুখে Reviewed by All in one একের ভিতর সব on 3:50 AM Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.