জাতীয়
গ্রামীণ ফোনের কাছে সরকারের পাওনা ১২ হাজার ৫ শ ৫৯ কোটি টাকার মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা প্রদানের নির্দশ দিয়েছে হাইকোর্ট
আলোরবাণী রিপোর্টঃ গ্রামীণ ফোনের কাছে সরকারের পাওনা ১২ হাজার ৫ শত ৫৯ কোটি টাকার মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা আগামী ২ মাসের মধ্যে প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। যদি আগামী দুই মাসের মধ্যে টেলিফোন অপারেটর গ্রামীণ ফোন টাকা দিতে ব্যর্থ হয় তবে গ্রামীণ ফোনের প্রশাসকের দ্বায়িত্বসহ সর্বপ্রকার কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারবে সরকার। তবে গ্রামীণ ফোনের আইনজীবীরা বলছেন আদেশের চুড়ান্ত কপি হাতে পেলেই তারা গ্রামীণ ফোনের মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তী প্রদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
কক্সবাজারে ৯৬ জলদস্যুর আত্মসমর্পন
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জিকুঃ গতকাল রাতে কক্সবাজার জেলা পুলিশ ৯৬ জন জলদস্যুকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে তাদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।এ সময় ওই ৯৬ জন জলদস্যু বিপুলসংখ্যক নানা ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমান গোলাবারুদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এডভোকট আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে তুলে দেন।তারা দুস্যাবৃত্তির পথ থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই আত্মসমর্পন করলেন।এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন,তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।তাছাড়া তাদের কে আইনি সুরক্ষাও প্রদান করা হবে।
সংসদ থেকে এমপি পদ হারাতে পারেন বুবলী
নরসিংদী সংবাদদাতাঃ নরসিংদী জেলা আওয়ামীলী থেকে বহিষ্কার হবার পর আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের পদ হারানোর পর এবার জাতীয় সংসদ থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সম্প্রতি বি এ পরীক্ষায় এক তরুণীকে দিয়ে তার পরীক্ষার উত্তরপত্রে প্রশ্নের উত্তর লিখতে নিতে ওই তরুণীকে ভাড়া করে আনলে তা ধরা পড়ায় এই জালিয়াতির ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় হওয়ার পর তার রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করাসহ তাকে আজীবন বহিষ্কারকরে জাতীয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এর পর হতে তাকে ঘিরে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের লোকজন। সম্প্রতি নরসিংদী জেলার মনোহরদীতে শিল্পমন্ত্রী এডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের উপস্থিতিতে এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
সড়ক ও সেতুমন্ত্রীর আশ্বাসে অবশেষে ধর্মঘট প্রত্যাহার
আলোর বাণী রিপোর্টঃ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আপতত এ আইন কার্যকর না করার আশ্বাসবাণী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের "বাংলাদেশ সড়ক ও পরিবহন আইন-২০১৮ " পুন বিবেচনা এবং আইনের কঠোরতর ধারাগুলো সংশোধন করার আশ্বাসবাণীতে অবশেষে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে সড়ক পরিবহন মালিক-কর্মচারী সমিতি। ফলে রাজধানী ঢাকার সাথে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হলেও খুলনা কিংবা দক্ষিণ বঙ্গ থেকে কোন ধরণের যানবাহন চলাচল না করায় দুর্ভোগের শিকার হয় দক্ষিণাঞ্চলের ১৬/১৭ টি জেলার প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ।তবে তাদের দাবী সম্পূর্ণ মানা হলে তারা এ কর্মসূচি হতে ফিরে আসবেন বলে আলোরবাণীকে জানান দক্ষিণ বঙ্গের পরিবহন মালিক-কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা।এর আগে ওই নেতারা গতকাল দেশের কয়েকটি জেলায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে করা আন্দোলন " নিরাপদ সড়ক চাই" এর আহবায়ক চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রতিমূর্তিতে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।যদিও এর প্রতিবাদ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, ও সচেতন মহল।
বাংলাদেশে নতুন সড়ক ও পরিবহন আইন কার্যকর না করার দাবীতে চলছে ধর্মঘট। আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে নৌপরিবহন শ্রমিক সমিতির অবরোধ।
সড়ক দূর্ঘটনারোধ সরকারের নতুন সড়ক ও পরিবহন আইন -২০১৮ বাস্তবায়ন কল্পে প্রয়োজনীয় সকল প্রদক্ষেপ গ্রহন করায় পরিবহন সেক্টরে পরিবহন মালিক কর্মচারী সমিতির ধর্মঘটের পাশাপাশি ১১ দফা দাবী আদায়ে নতুন করে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে নৌপরিবহন শ্রমিক সমিতি। তাদের দাবী মানা না হলে তারা নৌপরিবহন বন্ধ রাখার হুশিয়ারি দেয়।এদিকে পরিবহন শ্রমিক সমিতির ডাকা এই ধর্মঘটে রাজধানী ঢাকা সহ সারাদেশের লোকজনের যোগাযোগের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।নৌপরিবহন মালিক-কর্মচারী সমিতি আবার পুনরায় এই কর্মসূচি প্রদান করলে নৌপরিবহন সেক্টরে বিরাজ করবে চরম অস্থিরতা। মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে নানা ভোগান্তির শিকার হতে ব্যবসয়ী মহলকে। এজন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যেতে পারে কয়েক গুন এমনটি ধারণা করছেন অভিজ্ঞ মহল।এজন্য সরকারের দ্রুত প্রদক্ষেপ গ্রহন করা একান্ত জরুরী বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকবৃন্দ।
- বিআইসিএলে"বাংলাদেশের সড়ক ও পরিবহন আইন -১৮" শীর্ষক সচেতনামূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
নিজস্ব সংবাদদাতা নারায়ণগঞ্জ ঃসরকারি হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি বছর গড়ে আড়াই হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। আর আহত হচ্ছে পাঁচ হাজার মানুষ। তবে বেসরকারি হিসেব মতে কথাতে সংখ্যা আরো বেশি। এমন বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে অবশেষে নতুন সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ কার্যকর হয়েছে।আইনটি পূর্বতন আইনের চেয়ে কঠোরতর এবং ক্ষেত্র বিশেষে স্বৈরতান্ত্রিক হবার আশঙ্কাও রয়েছে।এ সমস্ত প্রতিক্রিয়া এসেছে পরিবহন শ্রমিক সম্প্ররদাযের লোকজনদের কাছ থেকে।আইনটির সুফল ও কুফল উভয়ই নির্ভর করছে প্রধানত বাস্তবায়নের উপর। খুব প্রারম্ভিক বাস্তবায়ন পর্যায়ে লক্ষ্য করা গেছে সড়কে হাইওয়ে ট্রাফিক পুলিশের এখনও নতুন আইনটি প্রয়োগের আগে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং নিজেরাও সম্ভবত স্পষ্ট অনুধাবন করতে একটু সময় নিচ্ছেন।আইনটি প্রয়োগে ভাম্যমান আদালতের সাথে থাকবে হাইওয়ে ট্রাফিক পুলিশ।তারপরও এর আইনগত দিকগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট জ্ঞান, গাড়িচালক এবং চালক সহকারীদের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়।যদিও নতুন ও পুরনো আইনের মাঝে প্রকৃতিগত পার্থক্য নেই বললেই চলে;শুধু শাস্তির ধরণ পরিবর্তন হয়েছে। নতুন আইন সম্পর্কে সম্যক ধারণা এবং তা পরিপূর্ণ মাত্রায় মানসিকভাবে গ্রহণ করে নেয়ার জন্য বিশেষত;পেশাদার গাড়ি চালক ও হেলপার বা সহকারীদের জন্য অবিলম্বে প্রয়োজন সচেতনতা মূলক প্রশিক্ষণ। যে প্রশিক্ষণ গুলো সরকারের পাশাপাশি যে কোন ধরনের কোম্পানি বা কারখানাতে ধারাবাহিক প্রদান করা হলে প্রশিক্ষণার্থীদের কাছে আরো বোধগম্য ও স্মৃতি সহায়ক হতে পারে।প্রশিক্ষণের প্রতিপাদ্য হবে কোন ধরনের অপরাধ অথবা বিশৃঙ্খলার জন্য কোন ধরনের শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা অবগত হয়েছি নতুন সড়ক আইনে ১৪ টি অধ্যায় রয়েছে। সেখানেনআইনী বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহৃত পরিভাষাগত সজ্ঞা থেকে শুরু করে যানবাহন ও চালক এর যাবতীয় দলিলপত্র সংগ্রহ এবং করণীয় বিধৃত হয়েছে। পরিবহন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিআরটিসি'র ক্ষমতার, বৈশিষ্ট্য কি করলে সড়ক পরিবহন আইন অমান্য হয়, আইন অমান্য করলে শাস্তির স্বরুপ প্রভৃতি স্বচ্ছ ভাষায় পরিব্যক্ত করা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জের বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেড এর কনফারেন্স রুমে গতকাল থেকে মাসব্যাপী পেশাদার অংশগ্রহণ মূলক একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান "সচেতনামূলক প্রশিক্ষণ; বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮" এর আয়োজন করে।যেখানে ১০০ জন গাড়িচালক (ভারী) অংশগ্রহণ করেন। মূলত এই প্রশিক্ষণটি আইন বিশ্লেষণাত্মক শিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচী। অনুষ্ঠানের শুরুতে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর প্রয়োজনীয়তার ওপর সমাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়। পাওয়ার পয়েন্ট প্রজেকশনে পুরো প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তিনটি পর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্বে নতুন সড়ক পরিবহন আইন এর অত্যন্ত জরুরী দিক সমূহ;দ্বিতীয়তঃ সড়ক পরিবহন এর পুরনো ও নতুন আইন এর পার্থক্য এবং তৃতীয়তঃ নতুন আইনের গুরুত্বপূর্ণ দিক সমূহ সম্পর্কে আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্বের মধ্যে দিয়ে সন্ধ্যাবধি কর্মসূচি চলে।প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বি আই সি এল এর মানব সম্পদ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এম জেড হোসেন আরজু প্রধান অতিথি ও প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন হাইওয়ে ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা (এসআই) মোঃ শাহজাহান মিয়া, বি আই সি এল এর পরিবহন শাখার ব্যবস্থাপক এ এস এম শামীম প্রমূখ। প্রশিক্ষণের অন্যতম জ্যোতিকেন্দ্র ছিল চালকের সনদ বা লাইসেন্স এর উপর। প্রশিক্ষণের প্রশ্নোত্তর পর্বে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার বাধ্যবাধকতা আরোপের বিষয়ে পরিবহন চালকেরা তীব্র ও ভিন্নমত প্রকাশ করেন। একই অপরাধ পুনঃ সংঘটনের ক্ষেত্রে সংঘটিত অপরাধের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুণ বিধান কে চালকেরা চরম অমানবিক বরে মনে করেন। প্রশিক্ষণার্থী চালকবৃন্দ আক্রমণাত্মক আচরণ ও জনরোষ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইনের ধারা কে একতরফা ও স্ববিবেচনামূলক এবং স্বার্থান্ধভাবে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগের আশঙ্কা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।তারা বিনা বিনা গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় গ্রেফতারের ধারা কে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করার সমতুল্য বলে সমালোচনা করেন। এই আইনটির অপপ্রয়োগ ও নিছক ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলেও ব্যবহার করতে পারেন বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন। সর্বশেষে বর্ণিত কতিপয় ধারাগুলো সংস্কার পূর্বক গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ জ্ঞাপন করেন।
৭কেজি চালের দামে ১কেজি পেঁয়াজ
আলোর বাণী ডেস্কঃ কোনো ভাবেই নিয়ন্ত্রনে আসছে না পেঁয়াজেরা দাম।৭কেজি চালের দামে মিলছে ১কেজি পেঁয়াজ ।পেঁয়াজের দাম নিয়ে সারাদেশে চলছে নানা গুঞ্জন । বিশ্ববাজারে পেয়াজের দাম স্থীতিশীল থাকলেও বাংলাদেশেই কেবল এই রেকর্ড ভেঙ্গে প্রায় মাসবধি যাবৎ পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে । এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু সুযোগবাদী ব্যবসায়ীরা প্রায় ৮ গুণ হারে মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে । আবার কিছু কিছু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের ভয়ে লুকিয়ে রেখে সাধারণ মানুষকে পেঁয়াজ নেই বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে বলে রয়েছে নানা অভিযোগ । আবার কেউ কেউ বিক্রয় করছে ৮গুণের ও বেশি টাকা দরে । পাইকারি বিক্রেতারাই এ মসলাটি ২০০ টাকার একটি পয়সা কমেও বিক্রি করছেন না। বাজারের এ চিত্র ছিলো গত বৃহষ্মপতিবারের । আজ মঙ্গলবার নারায়নগঞ্জ এলাকার বাজার গুলোতে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৭০ টাকা দরে । নারায়নগঞ্জের আশেপাশের চায়ের দোকানগুলোতে এই নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা । কেউ কেউ বলছেন, এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত। আবার কেউ কেউ বলছেন, ভারতের পেঁয়াজ না আসার কারণেই আজ মূলত এই অবস্থা্ ।এ দিকে একদল অস্বাধু ব্যবসায়ী লবণের দাম বেড়েছে বলে গুজব রটাচ্ছে । এ ঘটনায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি ওই সকল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইন অণুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ঘোষণা দিচ্ছে।
মানিকগঞ্জের হোটেল-রেস্তোরা ও কনফেকশনারী গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না
মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতাঃ মানিকগঞ্জ পৌরসভাসহ জেলার ৭ টি
উপজেলায় রাতারাতি লাফিয়ে লাফিয়ে গজিয়ে ওঠা ব্যাঙের ছাতার ন্যায়
হোটেল-রেস্তোরাঁ, ফাস্টফুড, কনফেশনারী, কিংবা বেকারি,মিনি চানাচুর ও সেমাই
তৈরির মিনি কারখানাগুলোতে দেশের প্রচলিত স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।
একটি
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, মানিকগঞ্জ জেলার কোর্ট চত্ত্বর, পৌর মার্কেট,
মানিকগঞ্জ পুরাতন দুধ বাজার, বেউথা ফেরিঘাট, গঙ্গাইর পট্টি,ঘিওর হাট-বাজার
এলাকা আরিচা ও পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা ঝিটকা হাট-বাজার, উথলী, জাফর গঞ্জ
এলাকাসহ জেলার শিবালয়, হরিরামপুর, ঘিওর, দৌলতপুর, সিঙ্গাইর ও সাটুরিয়া
উপজেলায় কমপক্ষে ৫ শতাধিক অনুমোদিত ও দেড় সহস্রাধিক অনুমোদনবিহীন
হোটেল-রেস্তোরাঁ, ফাস্টফুড, কনফেশনারীসহ বেকারি এবং মিনি সেমাই ও চানাচুর
তৈরির কারখানা রয়েছে। আর প্রতিদিনই এসব কারখানায় নোংরা, অস্বাস্থ্যকর ও
অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে তৈরি হয়ে থাকে বিভিন্ন রকমের খাদ্যদ্রব্য। যা কোনমতেই
স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এসব নোংরা খাবার সরবরাহের পাশাপাশি হোটেল ও রেস্তোরাঁতে
সরবরাহ করা হয়ে থাকে পঁচা, বাঁসি কিংবা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাবার।
নাম
প্রকাশ না করার শর্তে একজন সরকারি কর্মকর্তা জাগ্রত জনতা ২৪ ডটকম ও
পাক্ষিক কৃষি বিপ্লব 'কে জানান,সরকারী নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড
টেস্টিং ইনস্টিটিউট ( বিএসটিআই ), জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও
স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনের এসব হোটেল-রেস্তোরাঁ, ফাস্টফুড, কনফেশনারি,
বেকারি, সেমাই কিংবা চানাচুর তৈরির কারখানাগুলো নিয়মিত পরিদর্শন,পর্যবেক্ষণ
ও তদারকি করার কথা থাকলেও তারা ঠিকমতো দেখভাল না করার কারণে এসব
হোটেল-রেস্তোরাঁ, ফাস্টফুড ,কনফেকশনারি,বেকারি কিংবা মিনি সেমাই ও চানাচুর
তেরীর কারখানার মালিকরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।
দেশের
প্রচলিত বিশুদ্ধ খাদ্য আইন ১৯৬৯ সালের খাদ্য অধ্যাদেশের ২৩ নং ধারায় কেক,
রুটি, পরোটা, সিঙ্গারা, পুরি, লুচি, ডাল, ভাত, মিষ্টান্নসহ অন্যান্য
খাদ্যদ্রব্য বাঁসি করা যাবে না মর্মে উল্লেখ রয়েছে।তাছাড়া ২৪ নং ধারার ৩ নং
উপ-ধারায় হোটেল, রেস্তোরাঁ, ফাস্টফুড, কনফেশনারি, বেকারি, মিনি সেমাই ও
চানাচুর তৈরির কারখানার ছাঁদ, মেঝে, দরজা-জানালাসহ অন্যান্য অংশ অবশ্যই
পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে মর্মে উল্লেখ রয়েছে। অথচ হোটেল-রেস্তোরাঁ,
ফাস্টফুড, কনফেশনারী, বেকারি মিনি সেমাই ও চানাচুর তৈরির কোন প্রতিষ্ঠানের
মালিকেরা এই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কাই করেন না। স্বাস্থ্যবিধি না মানা এসব
প্রতিষ্ঠানের অস্বাস্থ্যকর, অপরিচ্ছন্ন ও অপরিষ্কার পরিবেশে প্রস্তুতকৃত
খাবার খেয়ে অনেকেই ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরা, গ্যাস্ট্রিক, আলসারসহ নানাবিধ
পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট
প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ একান্ত কাম্য হয়ে পড়ে।
জেডিসি পরীক্ষা ২০১৯ এর গত ০৯, ১১ এবং ১২/১১/২০১৯ ইং তারিখের পরীক্ষাগুলোর প্রগ্রাম পরিবর্তন করেছে সরকার ।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ঢাকা-সাভার-পাটুরিয়া রুটে আসছে ট্রেন
এম এ কাইয়ুম চৌধুরী,মানিকগঞ্জ সংবাদদাতাঃদীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সরকার ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত রেল লাইন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।এই রেল চালু হবে ঢাকা-সাভার-পাটুরিয়া রুটে।
এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় রেল পথ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আব্দুস সালামের সই করা এক আদেশে।
ঢাকা-সাভার-পাটুরিয়া সেকশনে রেল লাইন নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই ও বিশদ ডিজাইনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কে অবহিত করা হয়েছে বলে গত ৩ ডিসেম্বর ১৮ জারী হওয়া ওই আদেশে বলা হয়।এরপরই নতুন করে এই সেকশনে রেল লাইন নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে আদেশে বলা হয়।
জানাযায়,ইতিপূর্বে মানিকগঞ্জ-১আসনের সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় ঢাকা থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত রেল লাইনের জন্য রেলমন্ত্রী বরাবরে একটি আবেদন করেন। এর কিছু দিন পর দৈনিক ভোরের কাগজের কাগজের সিনিয়র রিপোর্টার কামরুজ্জামান খান সাভার উপজেলার পক্ষে রাজধানী ঢাকার যানজট কিছুটা হলেও লাঘব করতে ঢাকা-সাভার-পাটুরিয়া রুটে ট্রেন সার্ভিসের জন্য আবেদন শীর্ষক একটি প্রতিবেদন ও আবেদন পত্র প্রধানমন্ত্রীর নিকট পৌঁছে দেন। এ নিয়ে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ব্যাপক আলোচনা হয়। সম্প্রতি এ ঘটনার পর রেল পথ মন্ত্রণালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।ওই সভায় ঢাকা থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত রেল লাইন চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেল পথ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আব্দুস সালাম জানান,রেল পথ নির্মাণের ক্ষেত্রে সম্ভাব্যতা যাচাই বিশদ ডিজাইনের নকশা প্রস্তুত সহ নানা দিক-নির্দেশনা শেষ করে এ লাইনের কাজ হাতে নেওয়া হবে।
দৌলতপুরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছ রেজিষ্ট্রশনবিহীন
মোটরসাইকেল
মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতাঃ মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার সর্বত্র রেজিষ্ট্রশনবিহীন মোটরসাইকেল দাপটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছ।
অভিযোগ রয়েছে দৌলতপুর উপজেলার বাচামার, বাঘুটিয়া,কলিয়া, চক মিরপুর ও জিয়নপুর চরাঞ্চল উপজেলার সর্ববত্র দিন দিন লাইসেন্স, রুট পারমিট, ফিটনেস কিংবা লাইফ ইন্স্যুরেন্সবিহীন মোটরসাইকেলের সংখ্যা না কমে তা বেড়েই চলেছে।
জানাযায়, একশ্রেণীর অসাধু মোটরসাইকেল মালিকগন রেজিষ্ট্রশন, রুট পারমিট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, মোটরসাইকেলের লাইফ ইন্স্যুরেন্স কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স না করে অবৈধভাবে মোটরসাইকেল চালানোর কারনে সরকার যেমন মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি এসব অপরিপক্ব চালকগন বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেলে ড্রাইভিং করার ফলে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে।বিশেষ করে জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মসজিদ -মাদ্রাসা,অফিস আদালত কিংবা হাসপাতালে ছাত্র-ছাত্রী,রোগী, যাত্রী কিংবা ভুক্তভোগী লোকজনের যাতায়াত পথে এলাকার একশ্রেণীর উঠন্ত বয়সের বখাটে যুবক কিংবা এসব অবৈধ মোটরসাইকেল মালিকগণ বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর সময় প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে। অনেকেই দূর্ঘটনার কবলে পড়ে পঙ্গু কিংবা মারা যাচ্ছে বলেও রয়েছে নানা অভিযোগ। আবার কেউ কেউ মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার পাইপের বাঁশী খুলে রাখার ফলে মোটরসাইকেলের বিকট শব্দে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। জেলায় প্রায় দেড় সহাস্রাধিক লাইসেন্স, ফিটনেস, রুট পারমিট কিংবা গাড়ীর লাইফ ইন্স্যুরেন্সবিহীন মোটরসাইকেল রয়েছে যার কোন বৈধতা নেই।নেই দৌলতপুর উপজেলায় প্রায় দুই সহাস্রাধিক চালক রয়েছে যাদের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। তবুও এসব মোটরসাইকেলের চালকগন প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়েই হরহামেশাই দাপিয়ে দাপিয়ে বেশ দাপটেই চলাচাছেন এসব অবৈধ মোটরসাইকেল।এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ বিআরটি এ ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা নেই বললেই চলে।এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কাম্য।
নারায়ণগঞ্জে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীসহ নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীসহ নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ
নারায়নগঞ্জ সংবাদদাতাঃ নারায়নগঞ্জের বন্দর উপজেলায় কৃষি অফিসের এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীসহ নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়, বন্দর উপজেলা কৃষি অফিসের বর্তমান উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ জয়নাল আবেদীন দীর্ঘদিন পূর্বে এই উপজেলায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (আগের পদবী ব্লক সুপারভাইজার বা বিএস) হিসেবে যোগদান করেন।এর পর উপর মহল ও নিজ জেলা ও নিজ অফিসের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সাথে সু-সম্পর্ক তৈরি করার সুবাদে এখানে তিনি উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তার আসনটির দায়িত্ব প্রাপ্ত হন।দায়িত্ব লাভের পর হতেই তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন।এর কিছুদিন যেতে না যেতেই তিনি তিনি জড়িয়ে পড়েন নারী কেলেঙ্কারীর মত জঘন্য ঘটনার সাথে।
গত অক্টোবর মাসের ৮ তারিখে কৃষি অফিসের সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়ে একই অফিসের নিম্নমানের কর্মচারী এক নারীকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করা সহ ওই নারীর শরীরের নানা স্পর্শকাতর অঙ্গসমূহে হাত বুলানোর মত নানা জঘন্যতম দৃশ্য।বন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাহমিনা বেগম এ ঘটনায় সম্প্রতি তার কৃষি অফিসের ১২-১৮-৮৭.৬.০৩৯.৪১.১২/৪৬৪ নং স্মারকে উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে জেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবরে একটি আংশিক অভিযোগপত্র প্রেরণ করার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলী করা হয়েছে বলে জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে ভুক্তভোগী ওই নারী কর্মী জানান,উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কৃষি অফিসের ওই নারী কর্মীকে চাকুরীচ্যুত করার ভয়-ভীতি দেখিয়ে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করাসহ তাকে ব্যবহার করে নানারুপ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
ওই নারী কর্মী আরোও জানান,এতদিন চাকুরী ও মান সম্মানের ভয়ে এতদিন এ ঘটনা কাউকে না বললেও এখন জানাজানি হওযায় তিনি এর বিচার চান।বর্তমানে শারীরিক অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীন নামের ওই কর্মকর্তা লং টাইম ছুটিতে রয়েছেন।
এ ঘটনায় বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল তাহের বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুক্লা সরকারের সাথে সাক্ষাত করে একটি অভিযোগ পত্র জমা দেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাহমিনা বেগম জানান,শুধু নারী কলেঙ্কারীই নয়,জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্ণীতির শতাধিক অভিযোগ রয়েছে।অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে।তদন্ত শেষে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
নরায়নগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী মোঃ হাবিবুর রহমান জানান,বন্দর কৃষি অফিসে এমন ঘটনা ঘটেছে শুনিনি।এবার প্রথম জানলাম।অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করব।
অভিযুক্ত উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন জানান, আমি শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে এমন ভুল করেছি।এজন্য ক্ষমা ও চাচ্ছি।
জাতীয়
Reviewed by স্বাধীন খবর
on
5:35 AM
Rating:
Reviewed by স্বাধীন খবর
on
5:35 AM
Rating:











No comments: