সারাদেশ
বন্যহাতীর আক্রমণে ৩ জন নিহত আহত ১৫
চট্টগ্রাম সংবাদদাতাঃ গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলায় বন্য হাতীর আক্রমণে ৩ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন জানান,হাতি ধান খেতে ভালবাসে। তাই হাতির দল গভীর বন থেকে প্রায়ই ধান খেতে বাহিরে আসে। এবারও ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি বন্য হাতীর দল ধান খেতে লোকালয়ে এলে কৃষকদের সাথে বন্য হাতির এ ঘটনা ঘটে। তারা বন্য হাতির দলটিকে তাড়াবার চেষ্টা করলে ওই হাতির দল ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।এক পর্যায়ে ওই বন্য হাতির দলের তিনটি হাতির ৩ দফায় আক্রমণে ৩ জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়।খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তাগন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বসুন্ধরা সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর শ্রমিক দ্বীন ইসলাম ভান্ডারী আর নেই
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিঃ এর প্যাকিং সেকশনের শ্রমিক দ্বীন ইসলাম ভান্ডারী (৪০) গতকাল রাতে হঠাৎ করে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার ভাড়া করা মদনগঞ্জের বাসায় ইন্তেকাল করেন(ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে স্ত্রী,এক কন্যা সন্তান ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। আজ বেলা ১১ টায় ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশন মাঠে তার নামাজে জানাজা শেষে কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার বুড়গ্রাম গ্রামের নিজ বাড়ীতে তার লাশ দাফন করা হয়।
টিসিবি খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি তবুও কমেনি পেঁয়াজের দাম
আলোর বাণী রিপোর্টঃ সরকারের প্রথম ধাপের মিশর মিশন ব্যর্থ হওয়ায় পেঁয়াজের দর আবারও বেড়েছে। সরকার টিসিবির মাধ্যমে ঢাকার ৪০ টি পয়েন্টে খোলা বাজারে ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করলেও চাহিদার তুলনায় তা অনেক কম হওয়ার কারণে পেঁয়াজের বাজারের লাগাম টেনে ধরে রাখা যাচ্ছে না।পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের কারণে গত দুমাস যাবত পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এরপর সরকার পেঁয়াজের বাজারের লাগাম টেনে ধরতে বেশকিছু প্রদক্ষেপ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কার্গো বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানি করার কথা থাকলেও গত দু সপ্তাহ যাবত বিমান বন্দরে ওই বিমানগুলো একের পর এক পেঁয়াজ না নিয়ে খালি ফেরত আশায় পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে।তবে বানিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে,আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের বেশ কয়েকটি চালান দেশে আসবে। তখন পেঁয়াজের বাজার দর অনেকটাই কমে যাবে।
আলোর বাণী রিপোর্টঃ সরকারের প্রথম ধাপের মিশর মিশন ব্যর্থ হওয়ায় পেঁয়াজের দর আবারও বেড়েছে। সরকার টিসিবির মাধ্যমে ঢাকার ৪০ টি পয়েন্টে খোলা বাজারে ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করলেও চাহিদার তুলনায় তা অনেক কম হওয়ার কারণে পেঁয়াজের বাজারের লাগাম টেনে ধরে রাখা যাচ্ছে না।পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের কারণে গত দুমাস যাবত পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এরপর সরকার পেঁয়াজের বাজারের লাগাম টেনে ধরতে বেশকিছু প্রদক্ষেপ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কার্গো বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানি করার কথা থাকলেও গত দু সপ্তাহ যাবত বিমান বন্দরে ওই বিমানগুলো একের পর এক পেঁয়াজ না নিয়ে খালি ফেরত আশায় পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে।তবে বানিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে,আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের বেশ কয়েকটি চালান দেশে আসবে। তখন পেঁয়াজের বাজার দর অনেকটাই কমে যাবে।
পরিবহন মালিক কর্মচারী ফেডারেশনের নেতাদের সাথে রাতে হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ
আলোর বাণী রিপোর্টঃ আজ রাত আটটার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে তার বাসায় মিলিত হবেন পরিবহন মালিক কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা। সাক্ষাতের পর আলোচনা ফলপ্রসূ হলে তবেই তারা আন্দোলন হতে সরে আসবেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিবহন নেতারা। এর আগে সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সড়ক ও পরিবহন আইন শিথিল ও পুনঃবিবেচনার তা সংশোধনের আশ্বাসের ভিত্তিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন তারা।
মানিকগঞ্জে হাতুড়ে ডাক্তারদের দৌরাত্ম বেড়েছে
মানিকগঞ্জ সংবাদদাতাঃ মানিকগঞ্জ জেলাশহর সহ জেলার ৭ টি উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে হাতুড়ে ডাক্তারে দৌরাত্ম বেড়েছে।
জানাগেছে, মানিকগঞ্জ পৌরসভাসহ জেলার শিবালয়, হরিরাম, ঘিওর, দৌলতপুর, সিঙ্গাইর ও সাটুরিয়া উপজেলার ৬৫ টি ইউনিয়নে হাতুড়ে ( কোয়াক ) ডাক্তারদের দৌরাত্ম বেড়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, এ সকল হাতুড়ে বা কোয়াক ডাক্তারদের কেউ কেউ শহর কিংবা উপজেলার কোন ফার্মেসীতে কিছুদিন কাজ করার পর কিংবা সরকার অনুমোদিত কোন প্রতিষ্ঠান হতে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে ৬ মাসের ট্রেনিং নেওয়ার পরই গ্রাম-গঞ্জের কোন সুবিধাজনক স্থানে একটি ঔষধের দোকান দিয়েই নামের আগে অহরহ ডাক্তার শব্দটি ব্যবহার করে রোগীদের ব্যবস্থাপত্র প্রদানের পাশাপাশি তাদের ভূল চিকিৎসা প্রদান করে যাচ্ছেন। তারা রোগ ও ঔষধ সম্পর্কে তেমন ওয়াকিবহাল না জানার কারণে রোগীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এন্টায়বেটিক ঔষধ প্রদান করে থাকেন। রোগীরা তাদের মোহনীয় কথাবার্তা ও চাতুরী বুঝতে না পেরে এসব ঔষধ সেবন করে মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়েসহ অনেকের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। দেশের প্রচলিত আইন ও নিয়ম অনুযায়ী একজন মেডিকেল অফিসার কিংবা মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্ট ব্যতীত যে কারো নামের আগে ডাক্তার শব্দটি লিখা বৈধ না থাকলেও কিংবা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ব্যতীত এন্টায়বেটিক ঔষধ প্রদান করার নিয়ম কোন ফার্মেসী মালিকদের নেই।
তাছাড়া এসব ভূয়া হাতুড়ে ডাক্তারের দ্বারা কোন ফার্মেসী মালিকদের পক্ষে রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করা সম্পূর্ণরুপে অবৈধ।
অভিযোগ রয়েছে, ঔষধ প্রশাসন, ড্রাগ ইন্সপেক্টরগন,জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এমনকি বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড ট্রেস্টিং ইন্সটিটিউট ( বিএসটিআই ) সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করার হাতুড়ে ডাক্তারদের দৌরাত্ম এতটাই বেড়েছে যা অসহনীয় পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। নিয়ম অনুযায়ী ঔষধ বিক্রয়ের প্রতিটি দোকানের ক্ষেত্রে ড্রাগ লাইসেন্স, ফার্মাসিস্ট সার্টিফিকেট, ট্রেড লাইসেন্সসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র থাকা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু জেলার অধিকাংশ ফার্মেসী মালিকদের দোকানের এসব বৈধ কোন কাগজপত্র নেই।ফলে সরকার একদিকে যেমন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অপরদিকে জেলায় কতগুলো বৈধ ও অবৈধ ঔষধের দোকান রয়েছে এ তথ্যও সরকারের কাছে নেই।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জরুরি প্রদক্ষেপ গ্রহন করবেন এমনটই আশা করছেন জেলার সচেতন মহলের লোকজন।
মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছ রেজিষ্ট্রশনবিহীন মোটরসাইকেল
এম এ কাইয়ুম চৌধুরী, মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতাঃ মানিকগঞ্জ জেলাশহর সহ জেলার শিবালয়, হরিরামপুর,ঘিওর, দৌলতপুর, সিঙ্গাইর ও সাটুরিয়া উপজেলার ৬৫ টি ইউনিয়নের সর্বত্ররেজিষ্ট্রশনবিহীন মোটরসাইকেল দাপটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছ।
অভিযোগ রয়েছে, জেলায় দিন দিনলাইসেন্স, রুট পারমিট, ফিটনেস কিংবা লাইফ ইন্স্যুরেন্সবিহীন মোটরসাইকেলের সংখ্যা না কমে তা বেড়েই চলেছে।
জানাযায়, একশ্রেণীর অসাধু মোটরসাইকেল মালিকগন রেজিষ্ট্রশন, রুট পারমিট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, মোটরসাইকেলের লাইফ ইন্স্যুরেন্স কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স না করে অবৈধভাবে মোটরসাইকেল চালানোর কারনে সরকার যেমন মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি এসব অপরিপক্ব চালকগন বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেলে ড্রাইভিং করার ফলে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে।বিশেষ করে জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মসজিদ -মাদ্রাসা,অফিস আদালত কিংবা হাসপাতালে ছাত্র-ছাত্রী,রোগী, যাত্রী কিংবা ভুক্তভোগী লোকজনের যাতায়াত পথে এলাকার একশ্রেণীর উঠন্ত বয়সের বখাটে যুবক কিংবা এসব অবৈধ মোটরসাইকেল মালিকগণ বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর সময় প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে। অনেকেই দূর্ঘটনার কবলে পড়ে পঙ্গু কিংবা মারা যাচ্ছে বলেও রয়েছে নানা অভিযোগ। আবার কেউ কেউ মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার পাইপের বাঁশী খুলে রাখার ফলে মোটরসাইকেলের বিকট শব্দে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। জেলায় প্রায় দুই সহাস্রাধিক লাইসেন্স, ফিটনেস, রুট পারমিট কিংবা গাড়ীর লাইফ ইন্স্যুরেন্সবিহীন মোটরসাইকেল রয়েছে যার কোন বৈধতা নেই।নেই জেলায় প্রায় সাড়ে তিন সহাস্রাধিক চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স। তবুও এসব মোটরসাইকেল হরহামেশাই দাপিয়ে দাপিয়ে বেশ দাপটেই চলছে জেলার প্রতিটি উপজেলাগুলোতে।এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ বিআরটি এ ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা নেই বললেই চলে।এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কাম্য।
নারায়ণগঞ্জের বসুন্ধরায় শিল্প শ্রমিকদের স্বাস্থ্য উন্নয়নে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
গতকাল রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জে বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেড-এর তয় তলার কনফারেন্স রুমে" হৃদয়ে সায়েম সোবাহান" প্রতিপাদ্য নিয়ে শিল্প শ্রমিকদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে বসুন্ধরা সিমেন্ট তুলনাহিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিঃ এর মানব সম্পদ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান(ইডি) এম জেড হোসেন আরজু।প্রশাসন বিভাগের নিরাপত্তা শাখার প্রধান মোঃ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মদন গঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক(ট্রাফিক)মোঃ শাহজাহান মিয়া,রংধনু শিল্পী গোষ্ঠীর প্রতিনিধি কণ্ঠশিল্পী ও কিবোর্ড বাদক মোঃ আজাদ সাদেক,বিআইসিএলের পরিবহন বিভাগের সহঃ নির্বাহী মোঃ শরিফুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ তোফাজ্জল হোসেন,সহঃ প্রকৌশলী (সিভল) পিংকু কুমার কুন্ডু ও পাক্ষিক কৃষি বিপ্লব পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল আলোর বাণীর সম্পাদক ও প্রকাশক এম এ কাইয়ুম চৌধুরী,ভান্ডার শাখার সুপারভাইজার মোঃ আসাদুজ্জামান ও নিরাপত্তা বিভাগের পরিদর্শক মোঃ মোহন মিয়া। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বসুন্ধরা সাংস্কৃতিক বৃত্তের নিয়মিত শিল্পী মাহবুবুর রহমান রানা,রিপন বাউলা, সাইদুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ,রংধনু সঙ্গীত একাডেমীর শিল্পী দোলেয়ার হোসেন ও আরমান মিয়া।
মানিকগঞ্জে গাছে গাছে এমপি,মন্ত্রী, রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ফেস্টুন ও ব্যানারে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ
মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতাঃ আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ হতে আরিচা-পাটুরিয়া রুটসহ জেলার সাতটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কগুলোর রাস্তার দু-পাশের গাছগুলোতে এমপি, মন্ত্রী, রাজনৈতিক কিংবা প্ররভাবশালী ব্যক্তিদের ফেস্টুন ও সাইনবোর্ডের পরিবেশ দূষিত হওয়ার পাশাপাশি গাছগুলি রয়েছে হুমকির মুখে।এসব সাইনবোর্ড, ব্যানার কিংবা ফেস্টুন গাছের সাথে লোহার পেরেক দিয়ে সেঁটে দেওয়ায় গাছগুলোর জীবন রক্ষা দায় হয়ে পড়ছে।আর এই কারণেই দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়,জাতীয় দিবস সমূহ,ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠান কিংবা প্রতিটি নির্বাচনের পূর্বে এবং পরে ক্ষমতাসীন এমপি, মন্ত্রী,রাজনৈতিক কিংবা ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি স্থানীয় নেতাকর্মীরা রাস্তার দু-ধারের গাছগুলোকে গুলোকে তাদের প্রচার-প্রচারণার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে।আর এই কারণেই এসব গাছগুলোতে প্রতিনিয়ত যোগ হতে থাকে নিত্যনতুন সাইনবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন । এসব ফেস্টুন ব্যানার ও সাইনবোর্ডে সেঁটে দেওয়া লোহার পেরেকের আঘাতে গাছগুলো প্রতিনিয়তই হচ্ছে জর্জরিত।ফলে জীবন্ত গাছগুলো অল্পদিনের মধ্যে প্রাণহীন হয়ে পড়ে।এ কারণে জেলায় গত দু বছরে অন্তত দেড় সহাস্রাধিক ফলদ,বনজ ও বহুবর্ষজীবী ওষধি গাছ মারা গেছে।
উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞদের মতে,প্রতিটি দেশে আয়তনের প্রায় শতকরা ২২ থেকে ২৭ ভাগ বনায়ন থাকা প্রয়োজন।কিন্তু বাংলাদেশে শতকরা মাত্র ৮থেকে ১০ ভাগ বনভূমি রয়েছে।গাছ আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন দেয়। আমরা তা শ্বাস- প্রশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করি। কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করি। গাছ কার্বন-ডাই-অক্সাইড খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে।তাছাড়া গাছ থেকে আমরা প্রচুর পরিমাণ ফল-ফলাদি,কাঠ, খড়ি(লাকড়ি)পেয়ে থাকি।ফলমূল খেয়ে জীবন ধারণ করি।কাঠ দিয়ে ঘর বাড়ি ও আসবাবপত্র তৈরির কাজে ব্যবহার করে থাকি।বর্তমানে রাস্তার ধারের গাছগুলোতে বিজ্ঞাপন হিসেবে অপরিকল্পিতভাবে মাত্রাতিরিক্ত নানা আকৃতির সাইনবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন ব্যবহার করায় গাছগুলো মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়ছে।
কাষ্টসাগড়া আইসিএম ক্লাবের সহ-সভাপতি ল্যান্স নায়েক (অবঃ) মোঃ আব্দুর রহমান পাক্ষিক কৃষি বিপ্লব ও জাগ্রত জনতা ২৪ ডটকম কে জানান,ষাটের দশকের শেষের দিকেও গ্রাম অঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতে আম, জাম, কাঁঠাল, কদবেল, বেল, লিচু, নারিকেল, তাল, নিম, কড়াই, বাবলা, দেবদারুসহ নানা প্রকার কাঠের গাছ দেখা যেত।এখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে নতুন আবাসস্থল নির্মানের কারণে আবাদি কৃষি জমিসহ বসতবাড়ির জমির পরিমাণ কমে যাওয়ায় গাছপালা কেটে ফেলতে হচ্ছে।তাছাড়া ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার সহজলভ্য হওয়ায় বনভূমি পাশাপাশি বসতবাড়ীর আঙিনা থেকে গাছের পরিমাণ কমে যাচ্ছে।
যদিও কিছু কিছু লোকজন ব্যক্তিগত উদ্যোগে মেহগনি, আকাশমণি, ইউক্যালিপটাসসহ নানা প্রজাতির বিদেশি গাছের চারা রোপন করছেন তা কোনমতেই স্বাস্থ্য সম্মত নয়।দেশে এসব বিদেশী প্রজাতির গাছের চারা রোপন করার ফলে অনাবৃষ্টি, খরা, ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাতসহ নানাপ্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে।
দেশকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচাতে গাছকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এ কারণেই রাস্তার দুধারের গাছ-গাছালিতে সাঁটানো সাইনবোর্ড, ব্যানার কিংবা ফেস্টুনে শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধাঞ্জলি দোয়া প্রার্থনা জাতীয় সকল ধরণের বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ একান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।
মানিকগঞ্জে এসএমসি সভাপতি-শিক্ষক দ্বন্দে কমিটি বাতিল । শিক্ষক বদলী
এম এ কাইয়ুম চৌধুরী, মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতাঃমানিকগ জেলার শিবালয় উপজেলার উলাইল ইউনিয়নের আমডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি কোন্দলের জের ধরে দুটি গ্রুপের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ম্যানিজিং কমিটি বাতিল করাসহ ও বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ৪ শিক্ষককে অন্যত্র বদলী করার নির্দেশ দিয়েছেন শিবালয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার সিরাজুল ইসলাম। গত ২৯ অক্টোবর শিক্ষা অফিসের এক সরকারি প্রজ্ঞাপনের ৩৮.০০.৫৬৭৮.০১৬.০১.০০১.১৭.৬৭৯/ ৪৮ নং স্মারকেে এই আদেশ জারি করেন ওই কর্মকর্তা।
শিক্ষা অফিস সূত্র জানাযায়,এসএমসি সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্টু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অবেলা করা, বিদ্যালয়ের দেখভাল না করা, সময়মতো মিটিয়ে উপস্থিত না হওয়া কিংবা বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের মিটিংসহ অন্যান্য বিল-ভাউচারে স্বাক্ষর না করাসহ নানা কারণে ওই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নির্মল কুমার শর্মা ম্যানিজিং কমিটির সভাপতিকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন না করাসহ নানাবিধ অভিযোগে তাকে অন্যত্র বদলী করা হচ্ছে। এদিকে সহশিক্ষক সবুরা সুলতানা ও ঝর্ণা বেগম ম্যানিজিং কমিটির সভাপতির নিকটতম আত্মীয় হওয়ায় বিদ্যালয়ের গোপনীয়তা ফাঁস করাসহ তাকে সকল প্রকার তথ্য প্রদান করায় এই দুই শিক্ষককে অন্যত্র বদলী করা হচ্ছে। এছাড়া অপর শিক্ষক সুমা দে মোবাইল ফোনে এমএমসি সভাপতির বক্তব্য রেকর্ড করায় তা তথ্য প্রযুক্তি আইন লঙ্ঘিত হওয়ায় তাকেও অন্যত্র বদলীর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মানিকগঞ্জে সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
মানিকগঞ্জ সংবাদদাতাঃ দেশের সাইবার জগৎ
শুরু থেকেই অনিরাপদ অবস্থায় রয়েছে। নিরাপত্তাহীনতা এখন চরম পর্যায়ে
পৌঁছানোর উপক্রম। সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ।
সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা চলছে একাধিকবার।ভূয়া ফেসবুক
অ্যাকাউন্ট খুলে অপ্রপ্রচার চালানো,ছবি বিকৃতি ও কুৎসা রটানোর মাধ্যমে
অন্যের সম্মানহানী ঘটানো যেন অতিসাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোটখাট
বিষয়ে অপ্রপ্রচারের পাশাপাশি চলছে জঙ্গিবাদের উস্কানিও। সরকারের বিভিন্ন
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সম্মানহানির জন্য অপ্রপ্রচারের পথ বেছে নিয়েছে
সাইবার অপরাধীরা।
মানিকগঞ্জ জেলার
শিবালয় উপজেলার কাষ্টসাগড়া আইসিএম ক্লাবের আয়োজনে সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে
করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন
সচিব ড. মোঃ আমিনুর রহমান এসব কথা বলেন। তিনি আরোও বলেন, সংঘবদ্ধ একটি চক্র
রাষ্ট্র ও সমাজের সম্মানীত ব্যক্তিদের হেয় করার চেষ্টা চালাচ্ছে
অনবরত।কারও নামে সংঘবদ্ধভাবে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে
আইনের চোখে অপরাধী বানানোর চেষ্টা করা হয়।তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর এসব অপরাধ
এখন ভয়াবহ রুপ নিয়েছে।সরকারের শক্ত মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা না থাকা ও আইনের
যথাযথ প্রয়োগের অভাবে ভার্চুয়াল জাগতেই নেই জাতীয় নিরাপত্তায়ও হুমকি হয়ে
দাঁড়িয়েছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে জাগ্রত জনতা ২৪ ডটকম ও কৃষি বিপ্লব পত্রিকার
বিশেষ প্রতিনিধি কৃষক সংগঠক এম এ কাইয়ুম চৌধুরী বলেন,সামাজিক যোগা্যোগ
মাধ্যমের সাইট ও আ্যাপসগুলোর মধ্যে ফেসবুকেই সাইবার অপরাধ বেশি ঘটছে।সাইবার
অপরাধের কারণে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।প্রত্যন্ত
গ্রামগঞ্জেও সক্রিয় সাইবার অপরাধীরা। জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও এরা
আশনি-সংকেত হয়ে দেখা দিয়েছে। তিনি আরোও বলেন,সাইবার অপরাধ দমনে দেশে যেসব
আইন রয়েছে তা অপরাধীদের সামাল দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়।সে আইনের প্রয়োগও
সীমিত। পরিণতিতে নানা ধরনের গুজব অপ্রপ্রচার ছড়িয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক
অস্থিরতা সৃষ্টির মাধ্যমে নানা ধরনের দূর্ঘটনা, সংঘাত এমনকি হত্যার মতো
ঘটনাও ঘটছে।আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় দুর্বৃত্তরা এটিকে সুযোগ হিসেবে
নিচ্ছে। বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণেও তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। কাষ্টসাগড়া
আইসিএম ক্লাবের সহ-সভাপতি ল্যান্স নায়েক (অবঃ) মোঃ আব্দুর রহমানের
সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ
আজাহারুল ইসলাম সজীব,মোঃ হাসমত আলী ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনিসুর
রহমান প্রমূখ।
মানিকগঞ্জে দুই স্বামীর এক বধু
এম এ কাইয়ুম চৌধুরী,মানিকগঞ্জ সংবাদদাতাঃ পুরুষদের একাধিক নারীর সাথে ঘর-সংসার করার কথা সমাজ ও ধর্মীয়ভাবে স্বীকৃত।দেশের বিভিন্ন স্থানেে এ ঘটনাটি অহরহ ঘটলেও একজন মহিলার পক্ষে একসাথে দুজন স্বামীর ঘর করার কথাটি হয়তো আজ পর্যন্ত শুনেননি কেউ।এমন ঘটনা দেশের যুব সমাজ, রাষ্ট্র কিংবা ধর্মীয় অনুভূতিতে অনেকটাই আঘাত হানতে পারেন এমনটিই মন্তব্য করেছেন দেশের সচেতন নাগরিক ও আলেম সমাজ। এমন ঘটনা বাংলাদেশে অনেকটাই বিরল।যা সিনেমার কল্পকাহিনীকেউ হার মানায়।সম্প্রতি মানিকগঞ্জের ঘিওরে এক নারীর এক সাথে দুই স্বামীর সাথে পালাক্রমে ঘর-সংসার করার মত এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মহিলার প্রথম স্বামী আঃ মজিদের এক নিকততম এক আত্মীয় ও এলাকার কয়েকজন নারী জানান, মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের জাবরা পীরবাড়ী এলাকার সাংজুরি গ্রামের মীর্জা আসালত মোল্লার ছেলে মোঃ আব্দুল মজিদ প্রায় ২৫ বছর পূর্বে একই উপজেলার বানিয়াজুরি ইউনিয়নের কাকজোর এলাকার রিফাত আলীর ষোড়সী ও রুপসী কন্যা ফেরদৌসী আক্তার বিয়ে করেন। বিয়ে করার পরপরই সাংসারিক প্রয়োজনে ইতালির পথে পাড়ি জমান।এরপরপরই ওই নারীর সাথে মোবাইল ফোনে রং নাম্বারের মাধ্যমেে পরিচয় ঘটে কুমিল্লার আঃ আওয়াল হোসেন নামের এক যুবকের সাথে।এভাবেই প্রতিদিন আলাপচারিতার এক পর্যায়ে তাদের মধ্য প্রেম ও পরিণয় ঘটে।তারা একজন আরেকজনকে একান্ত আপন করে কাছে পেতে গোপনে কাজী অফিসে গিয়ে তড়িঘড়ি করে বিয়ে করেন।এরপর ওই মহিলা শ্বশুরবাড়ি হতে ঢাকাস্থ তার এক বোনের বাসায় বেড়ানোর নাম করে মাসের পর মাস পালা করে একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া করে ঘর-সংসার পাতেন মনের মত করে।এর পর পালাক্রমে ওই নারী একবার প্রথম স্বামী একবার দ্বিতীয় স্বামীর ঘর-সংসার করে আসছে। ৪৫ বছর বয়সী রুপসী ওই নারীর গর্ভের মোঃ ফরিদ হোসেন নামের ১৮ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।পুত্র সন্তানটি এলাকায় তার প্রথম স্বামীর পরিচয়ে পরিচিত হলেও স্কুলের কাগজপত্রে রয়েছে ওই নারীর দ্বিতীয় স্বামীর নাম ঠিকানা।এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও কোন প্রতিক্রিয়া নেই দুই স্বামীর মাঝে।নিষ্পাপ ফরিদের কে আসল পিতা তা ও বলতে পারছেন ফরিদের জন্মদায়িনী স্বয়ং নিজেও। এলাকাবাসী বলছেন ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া এই প্রশ্নের কোন সুরাহা হচ্ছে না।সূত্র জানায়, ওই নারী প্রথম স্বামী ইতালি প্রবাসী আঃ মজিদ দেশে ফিরলে তার সংসারে আবার সে বিদেশে গেলেই দ্বিতীয় স্বামী কুমিল্লার বাসিন্দা আঃ আওয়াল হোসেনের সাথে পালাক্রমে ঘর সংসার করে যাচ্ছেন।দুজন স্বামীর নিকট রয়েছে বিবাহের বৈধ কাগজপত্র।প্রথম স্বামী কিংবা ওই নারী তার প্রথম স্বামীকে তালাক দেননি।ওই নারী প্রথম স্বামী বিদেশে গেলে যৌনকামনা চরিতার্থ করার জন্যই দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বলে জানান স্থানীয় লোকজন।তবে প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়ে কিংবা বিবাহ বিচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত একজন নারীর পক্ষে এমন কাজ ইসলাম সিদ্ধ নয়।এ ঘটনায় আলেম সমাজ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করলেও দুই স্বামীর কেউ তাদের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম কে তালাক দিতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়েছে দিয়েছেন আলেম সমাজকে।এমন খবর এলাকায় শোনা যাচ্ছে বলে জানান ওই এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি।তাদের মতে, একজন পুরুষ যদি একসাথে তিন/চার জন স্ত্রী রাখতে পারেন,তবে একজন নারীর কেন একসাথে দুটো স্বামী রাখতে পারবেন না।তাছাড়া তাদের কোন সমস্যা না হলে এলাকার লোকজনের মাথাব্যথাটা কোথায় এর কোন কারণ খুজে পান না ওই দুই স্বামী। তারা বলেন,হিন্দু ধর্মের মহামানবী নারী দৌপদ্রী পঞ্চপাণ্ডবের একসাথে পালাক্রমে প্রতিদিন যৌনকামনা চরিতার্থ করাসহ ঘর-সংসার করছেন। তারপরও তিনি স্বতী ছিলেন।তবে ইসলাম কেন মানবে না।ধর্মের অজুহাতে এটা তাদের দুটি পরিবারের সংসার ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র মাত্র।বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ওই নারীকে এক নজর দেখার জন্য প্রতিদিন শত শত উৎসুক জনতা ঘিওরের বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের জাবরা পীরবাড়ী এলাকার-সাংজুরী গ্রামের আঃ মজিদের বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছেন।
সারাদেশ
Reviewed by স্বাধীন খবর
on
4:19 AM
Rating:





No comments: