স্বাধীন খবর
দেশ ও মানুষের কথা বলে !

calender

কৃষি-সংবাদ

মধুপুরের আনারস

আনারস একটি রসাল ফল।চিকিৎসা বিজ্ঞানের দিক থেকে এর রয়েছে অনেক গুন।এটি জ্বরের জন্য এমন একটি টনিক। যা খেলে মানুষের জ্বর কিংবা কৃমি দমন হয়।তাছাড়া খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় তাই সব সময় ভোজন রসিক লোকজনের লোলুপ দৃষ্টি থাকে এই ফলটির ওপরে।তাছাড়া দামেও অনেক সস্তা হওয়ায় যে কেউ চাইলেই কিনে খেতে পারেন এই রসাল ফলটিকে। সম্প্রতি আনারসের বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকা থেকে এ ছবিটি ক্যামারাবন্দি করেছেন আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জিকু।  














বৃক্ষপ্রেমিকরা আজ কোথায়?

ঢাকার সাভারে বাসার ছাদের উপর ৩/৪টা গাছ কাটার অপরাধে ১২ঘন্টার মধ্যে বিনামামলায় মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। আর গতরাতে নওগাঁর সাপাহারে গাছের সাথে শত্রুতা করে আমচাষিদের প্রায় ৬০ বিঘা জমির ওপর রোপিত প্রায় ১০ হাজার আমের গাছ কেটে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেছে দুর্বৃত্তদল।

ছাদের বাগানের ৩টি গাছের জন্য সারা দেশে বৃক্ষপ্রেমিক পাওয়া গেলেও নওগাঁর ১০হাজার ফলবৃক্ষকে কেটে সাবাড় করা করা নিয়ে বৃক্ষপ্রেমিকদের দেখা যাচ্ছেনা!!







ছবির ক্যাপশন

ময়মনসিংহঃ শুধু পুঁথিগত বিদ্যাই নয়,চাষাবাদ সম্পর্কে বাহ্যিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ শিক্ষার্থীদের ক্লাসে পাঠদানের পাশাপাশি হাতে-কলমে শিক্ষা দিতেই প্রতিদিন পালা করে বোরোধান সহ বিভিন্ন ধরণের ফসলের ক্ষেত তৈরি,বীজ বপন,চারা রোপন,পরিচর্যা  সহ বিভিন্ন বিষয়ে ২/৩ ঘন্টা করে ব্যবহারিক পাঠদান করেন।তারই ধারাবাহিকতায় একদল শিক্ষার্থীকে বোরোধানের জমি তৈরি  করার পর ধানের চারা রোপন করতে দেখা যাচ্ছে। ছবিঃএম এ কাইয়ুম চৌধুরী।

 

মানিকগঞ্জের বুক থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ৫৪ প্রজাতির মাছ

মানিকগঞ্জ সংবাদদাতাঃ মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন নদী,খাল-বিল, ডোবা-নালা ও জলাশয় থেকে দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে।প্রায় ৫৪ প্রজাতির বিভিন্ন মাছ বিলুপ্তির পথে।কৃষি জমিতে অনিয়ন্ত্রিত কীটনাশক ও অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহার, খাল-বিল,ডোবা-নালা ভরাট,উন্মুক্ত জলাশয়ে বাঁধ নির্মাণসহ মাছের বিচরণ ক্ষেত্রের প্রতিকূল পরিবর্তনের কারণে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়,মানিকগঞ্জ জেলার পদ্মা,যমুনা,ইছামতী,কালিগঙ্গা, ধলেশ্বরীসহ বেশ কিছু নদী খাল-বিল,ডোবা-নালা ও জলাশয় মাছের প্রধান উৎস।এসব নদী ও ডোবা-নালা এবং জলাশয়ের মাছ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলাশহর সহ রাজধানী ঢাকায় সরবরাহ করা হতো।একসময় জলাভূমিতে দেশীয় প্রাচুর্য ছিলো।কিন্তু এখন বেশ কিছু প্রজাতির মাছ তেমন দেখা যায় না।দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ বিলুপ্তির কারণে জেলার শিবালয়, হরিরামপুর, ঘিওর, দৌলতপুর, সিঙ্গাইর, সাটুরিয়া ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জেলেদের দুর্দিন চলছে ।সূত্র জানায়, বর্ষা মৌসুমে মা মাছগুলো ডিম ছাড়ে।ঐ সময় এক শ্রেণীর মৎস্য শিকারীরা এগুলো ধরে ফেলে।এতে দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন হয় না।তাছাড়া কতিপয় মাছ চাষিরা বিভিন্ন দিঘি,পুকুর কিংবা জলাশয় ইজারা নিয়ে বা ফসলি জমিতে মাছের ঘের তৈরী করে। এসব জলাশয় ও ঘেরে ফিল্টার রিংয়ের নামে হিলটন নামের ঔষধসহ বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে দেশীয় প্রজাতির মাছ ধ্বংস করে ফেলেছে। এছাড়া কৃষি জমি জমি থেকে রাসায়নিক পদার্থ বর্ষার সময় ও বিভিন্ন কল-কারখানার বর্জ্য খালের মাধ্যমে নদী ও জলাশয়ে মিশে পানি দূষিত করছে।ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছ দিন দিন কমে অনেকটাই বিলুপ্তির পথে।মানিকগঞ্জ জেলা তথ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, আগে জেলায় দেশীয় প্রজাতির যে সব মাছ দেখা যেত,তার অনেকটা এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিলুপ্ত প্রজাতির মাছের মধ্যে রয়েছে ভাংনা, চেলা, গাওয়া, বইট্টা, ঝাউর, বউমাছ, গিলাচাকি, বাতাসি, শোল, গজার, ইত্যাদি। এছাড়া বাঘাইর, নানদিয়া, কালবাউশ, পাবদা, আইড়, নামাচান্দা, তারা বাইম, বড় বাইম, কাকিলা, ইংলা, দারকিনা, খলিশা, লাল খলিশা, বইচা খলিশা, কৈ, বাইল্লা, মেনি(ভেদা), কাঁটাচান্দা, রাণী মাছ,রাণীগুতম,বোয়ালী পাবদা, লালচান্দা, ছোট পাবদা, বাতাসী, কাজলী, বাঁশপাতা, বাছা, বুজুরি টেংরা, টেংরা কওয়াজঙ্গী, কেচকি, বোয়াল, গাং মাগুর(চেকমুখা) সহ প্রায় ৫৪ প্রজাতির মাছ বিপন্ন। জলাশয় ডোবা ভরাট, অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা, জমিতে কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারসহ মাছের অনুকূল পরিবেশ তৈরী না হওয়ায় অনেক মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে





মানিকগঞ্জের পাটচাষীদের সুদিন ফেরাতে পারে সোনালী আঁশের রুপালী কাঠি


মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতাঃ সোনালী আঁশের রুপালী কাঠি মাানিকগঞ্জের কৃষকের আশার আলো জাগিয়ে তুলেছে।পাটের দাম ভাল না পেলেও পেলে ও পাট কাঠির দাম পেয়ে বেজায় খুশি চাষীরা।তাই পাট কাঠির পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।প্রতিদিন হাজার হাজার পাটকাঠির আটি বেচাকেনা হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকায়।বর্তমানে বাজারে ব্যাপক চাহিদা এ জেলায় পাটকাঠির চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুন।এরপর ও চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি থাকায় জেলার পাটকাঠি পার্শবর্তী জেলা সমূহে সরবরাহ করা হচ্ছে।পাটকাঠি নিয়ে তারা নতুন করে স্বপ্ন দেখতে  শুরু করেছে।পাটকাঠি থেকে চারকোল উৎপাদন ও রপ্তানির দাবী মানিকগঞ্জ জেলার পাট চাষীদের।এতে সোনালী আঁশের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।একই সঙ্গে সৃষ্টি হবে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান।উপার্জিত হবে বিপুল রাজস্ব।মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান চৌধুরী জাগ্রত জনতা ২৪ ডটকম ও পাক্ষিক কৃষি বিপ্লব'কে জানান, চলতি মৌসুমে মানিকগঞ্জ জেলায় ৩ হাজার ৪ শত ৪৮ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। বিঘার হিসাবে তা দাড়ায় ২৫ হাজার ৮ শত ৬০ বিঘা।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে জেলার ২৫ হাজার ৮ শত ৬০ বিঘা জমির পাটকাঠি প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা বিক্রি হয়েছে।জেলাতে চারকোল কারখানা থাকলে পাটকাঠির আরো বেশী পেতেন বলে দাবী পাটচাষীদের।বর্তমানে দেশে অন্তত ৩০ টি চারকোল কারখানা রয়েছে।১০-১২ টি প্রতিষ্ঠান পাটকাঠি থেকে কয়লা উৎপাদন করছে। জামালপুর, নারায়নগঞ্জ, রাজশাহী,পাবনা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও গাজীপুর জেলায় এসব কারখানা অবস্থিত।মানিকগঞ্জ জেলায় এবার নতুন করে চারকোল তৈরির মিল স্থাপনের দাবী উঠেছে।সূত্রমতে,দেশে ২০১২ সালে এই শিল্পের যাত্রা শুরু হয়।সে বছরই চীনে চারকোল রপ্তানি শুরু হয়।চারকোল ম্যানুফ্যাক্সারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মির্জা জিল্লুর রহমান এ প্রতিবেদক কে জানান,দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩০ লক্ষ টন পাটকাঠি উৎপাদিত হয়।এর মধ্যে যদি ৫০ ভাগ পাটকাঠি সঠিকভাবে চারকোল উৎপাদনে ব্যবহৃত করা যায়, তবে প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টন চারকোল উৎপাদন সম্ভব হবে।যা বিদেশে রপ্তানি করে ২ হাজার ৫শ' কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।একই সঙ্গে সারাদেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।যে খাতে মানিকগঞ্জ জেলার পাটকাঠির রয়েছে অপার সম্ভাবনা। বানিজ্যিকভাবে পাটকাঠি থেকে কয়লা হচ্ছে।এটি ফেসওয়াশ, ফটোকপির কালি, পানির ফিল্টার ও বিভিন্ন ধরণের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। জাপান, ব্রাজিল, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ক্যানাডা, মেক্সিকোসহ বিভিন্ন দেশে এ কয়লার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে সূত্র জানায়।২০১৬ অর্থবছরে এ খাত থেকে ১৫০ কোটি টাকার রপ্তানি আয় হয়েছে।পাট বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে জানা গেল,পাটখড়ি থেকে তৈরি চারকোলের নানা সম্ভাবনার বিষয়ে।চীনসহ বিভিন্ন দেশে পাটকাঠি পুড়িয়ে পাওয়া কার্বন থেকে আতশবাজি, কার্বন পেপার, প্রিন্টার ও ফটোকপি মেশিনের কালি, মোবাইলের ব্যাটারি, ফেসওয়াশের উপকরণ ও প্রসাধণপণ্য, পানির ফিল্টার, বিষ ধ্বংসকারী ওষুধ,জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, দাঁত পরিস্কারের ওষুধ ও সারসহ নানা পণ্য তৈরি করা হয়।চারকোল বা কয়লা ছাড়াও পাটকাঠি থেকে আ্যাকটিভেটেট কার্বন উৎপাদন করা হয়।ইউরোপে ওয়াটার পিউরিফিকেশন প্ল্যান্টে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জের জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন,মানিকগঞ্জ জেলা নদী পরিবেষ্টিত হওয়ায় প্রতি বছর জমিতে প্রচুর পলি পড়ায় এখানে ভাল মানের পাট উৎপাদন হয়।জেলাতে চারকোল তৈরির মিল স্থাপনের চিন্তা ভাবনা রয়েছে।ব্যবসায়ীরা উদ্যোগ নিলে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করা হবে।সরকারেরর এই কর্মকর্তা আরো বলেন,বর্তমান সরকার পাট পণ্যের উপর অধিক গুরুত দিয়েছে।কারণ বিশ্ব বাজারে দিন দিন পাটের চাহিদা বাড়ছে।

কৃষি-সংবাদ কৃষি-সংবাদ Reviewed by স্বাধীন খবর on 2:05 AM Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.