স্বাধীন খবর
দেশ ও মানুষের কথা বলে !

calender

মানিকগঞ্জে দুই স্বামীর এক বধু

এম এ কাইয়ুম চৌধুরী,মানিকগঞ্জ সংবাদদাতাঃ পুরুষদের একাধিক নারীর সাথে ঘর-সংসার করার কথা সমাজ ও ধর্মীয়ভাবে স্বীকৃত।দেশের বিভিন্ন স্থানেে এ ঘটনাটি অহরহ ঘটলেও একজন মহিলার পক্ষে একসাথে দুজন স্বামীর ঘর করার কথাটি হয়তো আজ পর্যন্ত শুনেননি কেউ।এমন ঘটনা দেশের  যুব সমাজ, রাষ্ট্র কিংবা ধর্মীয় অনুভূতিতে অনেকটাই আঘাত হানতে পারেন এমনটিই মন্তব্য করেছেন দেশের সচেতন নাগরিক ও আলেম সমাজ। এমন ঘটনা  বাংলাদেশে অনেকটাই  বিরল।যা সিনেমার কল্পকাহিনীকেউ হার মানায়।সম্প্রতি মানিকগঞ্জের ঘিওরে এক নারীর এক সাথে দুই স্বামীর সাথে পালাক্রমে ঘর-সংসার করার মত এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মহিলার প্রথম স্বামী আঃ মজিদের এক নিকততম এক  আত্মীয় ও এলাকার কয়েকজন নারী জানান, মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের জাবরা পীরবাড়ী এলাকার সাংজুরি গ্রামের মীর্জা আসালত মোল্লার   ছেলে মোঃ আব্দুল মজিদ প্রায় ২৫ বছর পূর্বে একই উপজেলার বানিয়াজুরি ইউনিয়নের কাকজোর এলাকার রিফাত আলীর ষোড়সী ও রুপসী কন্যা ফেরদৌসী আক্তার বিয়ে করেন। বিয়ে করার পরপরই সাংসারিক প্রয়োজনে ইতালির পথে পাড়ি জমান।এরপরপরই ওই নারীর সাথে মোবাইল ফোনে রং নাম্বারের মাধ্যমেে পরিচয় ঘটে কুমিল্লার আঃ আওয়াল হোসেন নামের এক যুবকের সাথে।এভাবেই প্রতিদিন  আলাপচারিতার এক পর্যায়ে তাদের মধ্য প্রেম ও পরিণয় ঘটে।তারা একজন আরেকজনকে একান্ত আপন করে কাছে পেতে গোপনে কাজী অফিসে গিয়ে তড়িঘড়ি করে বিয়ে করেন।এরপর ওই মহিলা শ্বশুরবাড়ি হতে ঢাকাস্থ তার এক বোনের বাসায় বেড়ানোর নাম করে মাসের পর মাস পালা করে একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া করে ঘর-সংসার পাতেন মনের মত করে।এর পর পালাক্রমে ওই নারী একবার প্রথম স্বামী একবার দ্বিতীয়  স্বামীর ঘর-সংসার করে আসছে। ৪৫ বছর বয়সী রুপসী ওই নারীর গর্ভের মোঃ ফরিদ হোসেন নামের ১৮ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।পুত্র সন্তানটি এলাকায় তার প্রথম স্বামীর পরিচয়ে পরিচিত হলেও স্কুলের কাগজপত্রে রয়েছে ওই নারীর দ্বিতীয় স্বামীর নাম ঠিকানা।এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও কোন প্রতিক্রিয়া নেই দুই স্বামীর মাঝে।নিষ্পাপ ফরিদের কে আসল পিতা তা ও বলতে পারছেন ফরিদের জন্মদায়িনী স্বয়ং নিজেও। এলাকাবাসী বলছেন ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া এই প্রশ্নের কোন সুরাহা হচ্ছে না।সূত্র জানায়, ওই নারী প্রথম স্বামী ইতালি প্রবাসী আঃ মজিদ দেশে ফিরলে তার সংসারে আবার সে বিদেশে গেলেই দ্বিতীয় স্বামী কুমিল্লার বাসিন্দা আঃ  আওয়াল হোসেনের সাথে পালাক্রমে ঘর সংসার করে যাচ্ছেন।দুজন স্বামীর নিকট  রয়েছে বিবাহের বৈধ কাগজপত্র।প্রথম স্বামী কিংবা ওই নারী তার প্রথম স্বামীকে তালাক দেননি।ওই নারী প্রথম স্বামী বিদেশে গেলে যৌনকামনা চরিতার্থ করার জন্যই দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বলে জানান স্থানীয় লোকজন।তবে প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়ে কিংবা বিবাহ বিচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত একজন নারীর পক্ষে এমন কাজ ইসলাম সিদ্ধ নয়।এ ঘটনায় আলেম সমাজ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করলেও দুই স্বামীর কেউ তাদের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম কে তালাক দিতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়েছে দিয়েছেন আলেম সমাজকে।এমন খবর এলাকায় শোনা যাচ্ছে বলে জানান ওই এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি।তাদের মতে, একজন পুরুষ যদি একসাথে তিন/চার জন স্ত্রী রাখতে পারেন,তবে একজন নারীর কেন একসাথে দুটো স্বামী রাখতে পারবেন না।তাছাড়া তাদের কোন সমস্যা না হলে এলাকার লোকজনের মাথাব্যথাটা কোথায় এর কোন কারণ খুজে পান না ওই দুই স্বামী। তারা বলেন,হিন্দু ধর্মের মহামানবী নারী দৌপদ্রী পঞ্চপাণ্ডবের একসাথে পালাক্রমে প্রতিদিন যৌনকামনা চরিতার্থ করাসহ ঘর-সংসার করছেন। তারপরও তিনি স্বতী ছিলেন।তবে ইসলাম কেন মানবে না।ধর্মের অজুহাতে এটা তাদের দুটি পরিবারের সংসার ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র মাত্র।বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ওই নারীকে এক নজর দেখার জন্য প্রতিদিন শত শত  উৎসুক জনতা ঘিওরের বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের জাবরা পীরবাড়ী এলাকার-সাংজুরী গ্রামের আঃ মজিদের বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছেন।  
মানিকগঞ্জে দুই স্বামীর এক বধু মানিকগঞ্জে দুই স্বামীর এক বধু Reviewed by স্বাধীন খবর on 6:28 AM Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.