
টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় অবাধেে চলছে লাল মাটির টিলা কাটার মহোৎসব। আর পাহাড় ও টিলা কেটে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইট ভাটার মালিকের কাছে। ভরাট করা হচ্ছে পুকুর ও নিচু জমি। বিভিন্ন ফসল ও সবজি আবাদের নাম করে এবং বাড়ি ঘর নির্মাণের কথা বলে ২০/৩০ ফুট উচু টিলা কেটে মাটির শ্রেণী পরিবর্তন করে সমতল করা হচ্ছে। বন বিভাগের সংরক্ষিত ভূমিতে ভ্যেকু বা এক্সেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটার মহোৎসব চললেও বনবিভাগ কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের এ নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই। এভাবে পাহাড় কাটার ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা বাড়ছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ৬(খ) ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি বা আধা সরকারি কিংবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলানাধীন বা ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করতে পারবে না। তবে অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে পাহাড় বা টিলা কাটা যেতে পারে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে। আবার ২০১৬ সালের ভূমি ব্যবহার আইন অনুযায়ী যেসব জমি বনভূমি হিসেবে টিলা, পাহাড়, পাহাড় শ্রেণি, জলাভূমি, চা বাগান, ফলের বাগান, রাবার বাগান ও বিশেষ ধরণের বাগান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে তার শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। এসব স্থানে কোনো ধরনের আবাসিক কিংবা শিল্প-কারখানা স্থাপন করা যাবে না। এ আইন ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও সর্বনিম্ন ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে। এ আইনের মাধ্যমে অপরাধ দমনে জরুরি প্রয়োজনে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ভাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে পারবে। অথচ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার জুগিয়াটেংগর, মাকরাই, ঘোরামারা, পাঞ্জাচালা, হরিণাচালাসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক এলাকায় সারা বছর স্থানীয় এক শ্রেণির প্রভাবশালী পাহাড় ও টিলা কেটে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করলেও প্রশাসনের নজর নেই সেদিকে। সরেজমিনে উল্লিখিত এলাকাগুলো ঘুরে পাহাড় ও টিলা কাটার চিহ্ন পাওয়াসহ বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় কাটার দৃশ্যও চোখে পড়ে। এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ গ্রহন একান্ত কাম্য।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পাহাড়খোকোদের কালোথাবা লাল মাটির পাহাড়ে
Reviewed by
স্বাধীন খবর
on
4:33 AM
Rating:
5
No comments: